আন্তর্জাতিক ডেস্ক – গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের উপরে হামলা চালায় এক জৈইশ জঙ্গি। আত্মঘাতী জঙ্গি আদিলের আক্রমণে প্রাণ হারান ৪৪ জন সেনাসদস্য। এরপরও আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়। সব মিলিয়ে ৪৯জন সেনা শহীদ হন ঐ ঘটনায়। যা নিয়ে শোকে কাতর হয়েছিল কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। সেই সময় থেকেই পাল্টা বদলা নেওয়ার দাবি ওঠে। পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার বদলা কেন নেওয়া হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক উত্তাপও।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার ভোর রাতে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় বায়ু সেনা। ভারতীয় যুদ্ধবিমান মিরাজ ২০০০-এর সাহায্যে এদিন ভোর সাড়ে তিনটায় ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাগুলো। মুজফফরাবাদ সেক্টরের সকল জঙ্গি ঘাঁটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। মোট এক হাজার কেজি বোমা বর্ষণ করে ২০০ থেকে ৩০০ জঙ্গিকে খতম করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা।
এর আগে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উরি সেনা ছাউনিতে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ঠ জঙ্গিরা। সেই ঘটনার দশ দিনের মাথায় অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারতীয় সেনা। সেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে সেনা এবং সরকারের গর্বের শেষ নেই। যা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছিল অনেক রাজনৈতিক দল। পাল্টা সরকারের দাবি নিয়েই তৈরি হয় রাজনৈতিক তর্ক।
পুলওয়ামার হামলার পরে ফের কেন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানো হচ্ছে না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রশ্নের মুখে পরে মোদী সরকার। সরাসরি প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর মন্ত্রিসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। তবে পালটা জবাব দেওয়ার কথা প্রথম থেকেই বলে আসছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সেই যাবতীয় বিতর্কের যেন অবসান ঘটিয়ে দিল ভারতের বায়ু সেনা জওয়ানেরা। নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে ধ্বংস করে দিল জঙ্গিদের একাধিক ঘাঁটি। যাতে খতম হয়েছে ৩০০ -র মত জুঙ্গি। পুলওয়ামা কাণ্ডের ১২ দিন পরে ১২টি যুদ্ধবিমান প্রত্যাঘাত দিল শত্রু শিবিরকে। এই ঘটনার চর্চা শুরু হয়েছে সমগ্র বিশ্বে
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-